ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৪৫ দিন ভিক্ষা করে লাখ লাখ টাকার মালিক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের ইন্দোরের একটি ব্যস্ত রাস্তা থেকে এক নারী ও তাঁর মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোর করে সন্তানদের দিয়ে ভিক্ষা করান। পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়ার পর ইন্দ্রা বাঈ নামের ওই নারী জানান, মাত্র ৪৫ দিনে ভিক্ষা করে তারা আড়াই লাখ রুপি জমিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ভিক্ষা করেই একটি দোতলা বাড়ি বানিয়েছেন ইন্দ্রা বাঈ। তাঁর স্বামী ভিক্ষার টাকায় কিনেছেন মোটরসাইকেল। একটি জমিও কিনেছে এই পরিবার। এমনকি প্রায় ২০ হাজার রুপি দামের একটি স্মার্টফোনও রয়েছে ইন্দ্রার।

বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে সোমবার ইন্দ্রাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক মেয়েকে হস্তান্তর করা হয়েছে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে। ৭ বছর বয়সী এই মেয়ে ছাড়াও ইন্দ্রার আরও চার সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১০, ৮, ৩ ও ২।

ভিক্ষুকদের নিয়ে কাজ করা ওই স্থানীয় এনজিও বলছে, তারা ৭ হাজার ভিক্ষুকের তথ্য যাচাই করেছেন। এদের অর্ধেকই শিশু। সব ভিক্ষুক মিলিয়ে বছরে ২০ কোটি রুপি পায় তারা।

ইন্দ্রা বাঈ পুলিশকে জানায়, ভিক্ষা করার জন্য তারা এমন রাস্তা বেছে নিতেন, যেখানে তীর্থযাত্রীদের ভিড় থাকতো। এসব রাস্তায় ভিক্ষার জন্য শিশুদের বসিয়ে রাখা হতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

৪৫ দিন ভিক্ষা করে লাখ লাখ টাকার মালিক!

আপডেট সময় : ০৮:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারতের ইন্দোরের একটি ব্যস্ত রাস্তা থেকে এক নারী ও তাঁর মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোর করে সন্তানদের দিয়ে ভিক্ষা করান। পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়ার পর ইন্দ্রা বাঈ নামের ওই নারী জানান, মাত্র ৪৫ দিনে ভিক্ষা করে তারা আড়াই লাখ রুপি জমিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ভিক্ষা করেই একটি দোতলা বাড়ি বানিয়েছেন ইন্দ্রা বাঈ। তাঁর স্বামী ভিক্ষার টাকায় কিনেছেন মোটরসাইকেল। একটি জমিও কিনেছে এই পরিবার। এমনকি প্রায় ২০ হাজার রুপি দামের একটি স্মার্টফোনও রয়েছে ইন্দ্রার।

বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে সোমবার ইন্দ্রাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক মেয়েকে হস্তান্তর করা হয়েছে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে। ৭ বছর বয়সী এই মেয়ে ছাড়াও ইন্দ্রার আরও চার সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১০, ৮, ৩ ও ২।

ভিক্ষুকদের নিয়ে কাজ করা ওই স্থানীয় এনজিও বলছে, তারা ৭ হাজার ভিক্ষুকের তথ্য যাচাই করেছেন। এদের অর্ধেকই শিশু। সব ভিক্ষুক মিলিয়ে বছরে ২০ কোটি রুপি পায় তারা।

ইন্দ্রা বাঈ পুলিশকে জানায়, ভিক্ষা করার জন্য তারা এমন রাস্তা বেছে নিতেন, যেখানে তীর্থযাত্রীদের ভিড় থাকতো। এসব রাস্তায় ভিক্ষার জন্য শিশুদের বসিয়ে রাখা হতো।