ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংরক্ষিত আসনে অভিনেত্রীদের ভরাডুবি

বিনোদন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১৫ জন বিনোদন অঙ্গনের তারকা। এর মধ্যে নতুন হিসেবে নায়ক ফেরদৌস আহমেদ পান টিকিট। হয়েছেন সংসদ সদস্যও। সেই মনোনয়ন তালিকায় স্থান পাননি কোনো অভিনেত্রী।

আর আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সেই তালিকায় নেই নতুন কোনো অভিনেত্রীর নাম। শুধু রয়েছেন তারানা হালিম।

দলটির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন সুজাতা বেগম, লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারিন জাহান, শিমলা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভীন সুইটি, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, শামীমা তুষ্টি, শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ। তবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলটি তাঁদের কারও ওপর এবার আস্থা রাখেনি।

যদিও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথাই শিরোধার্য। আমি নিজেও সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলাম।

এসময় সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেনা আরেক অভিনেত্রী তানভীন সুইটি জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাত আরও শক্ত করে ধরবেন তিনি।

অন্যদিকে, তারানা হালিম ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তিনি ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে মোট এক হাজার ৫৪৯ টি ফরম বিক্রি করেছে দলটি, যা থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ পায় মোট ৪৮ আসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংরক্ষিত আসনে অভিনেত্রীদের ভরাডুবি

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১৫ জন বিনোদন অঙ্গনের তারকা। এর মধ্যে নতুন হিসেবে নায়ক ফেরদৌস আহমেদ পান টিকিট। হয়েছেন সংসদ সদস্যও। সেই মনোনয়ন তালিকায় স্থান পাননি কোনো অভিনেত্রী।

আর আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সেই তালিকায় নেই নতুন কোনো অভিনেত্রীর নাম। শুধু রয়েছেন তারানা হালিম।

দলটির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন সুজাতা বেগম, লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারিন জাহান, শিমলা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভীন সুইটি, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, শামীমা তুষ্টি, শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ। তবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলটি তাঁদের কারও ওপর এবার আস্থা রাখেনি।

যদিও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথাই শিরোধার্য। আমি নিজেও সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলাম।

এসময় সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেনা আরেক অভিনেত্রী তানভীন সুইটি জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাত আরও শক্ত করে ধরবেন তিনি।

অন্যদিকে, তারানা হালিম ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তিনি ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে মোট এক হাজার ৫৪৯ টি ফরম বিক্রি করেছে দলটি, যা থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ পায় মোট ৪৮ আসন।