ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৫০ বছর পর চাঁদে আমেরিকার মহাকাশযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৫০ বছর পর চাঁদে অবতরণ করল আমেরিকার মহাকাশযান। ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’ নামের মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি বাণিজ্যিক রোবট ‘ওডিসিয়াস’ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। আর এর মধ্যে দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে আমেরিকার ৫০ বছরের বেশি সময়ের অনুপস্থিতির অবসান ঘটল। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৭ মিশন ছিল আমেরিকার সবশেষ চন্দ্রাভিযান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোবটটিকে চাঁদের মাটিতে স্থাপনে কয়েক মিনিট সময় লাগলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই সেটি ইনটিউটিভ মেশিনসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে সংকেত পাঠাতে শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট ডিরেক্টর টিম ক্রেইন ঘোষণা দেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের মহাকাশযান চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছেছে এবং আমরা সংকেত পাঠাতে পারছি।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অ্যারোস্পেস কোম্পানি ইনটুইটিভ মেশিনসের মুন ল্যান্ডার ‘নোভা-সি’ উৎক্ষেপণ করা হয়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আইএম-১ মিশন’। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মহাকাশযানটি চাঁদের উপরিভাগে পৌঁছায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। চাঁদে মহাকাশযানটি পাঠিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। নোভা-সি ল্যান্ডারে নাসার ছয়টি ব্যক্তিগত পেলোড রয়েছে। এসব পেলোড চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে। চলতি দশকের শেষে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এর আগে উপগ্রহটির পরিবেশ ও আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি গবেষণার জন্য স্পেসএক্সের অভিযানকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

৫০ বছর পর চাঁদে আমেরিকার মহাকাশযান

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

৫০ বছর পর চাঁদে অবতরণ করল আমেরিকার মহাকাশযান। ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’ নামের মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি বাণিজ্যিক রোবট ‘ওডিসিয়াস’ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। আর এর মধ্যে দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে আমেরিকার ৫০ বছরের বেশি সময়ের অনুপস্থিতির অবসান ঘটল। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৭ মিশন ছিল আমেরিকার সবশেষ চন্দ্রাভিযান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোবটটিকে চাঁদের মাটিতে স্থাপনে কয়েক মিনিট সময় লাগলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই সেটি ইনটিউটিভ মেশিনসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে সংকেত পাঠাতে শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট ডিরেক্টর টিম ক্রেইন ঘোষণা দেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের মহাকাশযান চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছেছে এবং আমরা সংকেত পাঠাতে পারছি।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অ্যারোস্পেস কোম্পানি ইনটুইটিভ মেশিনসের মুন ল্যান্ডার ‘নোভা-সি’ উৎক্ষেপণ করা হয়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আইএম-১ মিশন’। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মহাকাশযানটি চাঁদের উপরিভাগে পৌঁছায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। চাঁদে মহাকাশযানটি পাঠিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। নোভা-সি ল্যান্ডারে নাসার ছয়টি ব্যক্তিগত পেলোড রয়েছে। এসব পেলোড চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে। চলতি দশকের শেষে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এর আগে উপগ্রহটির পরিবেশ ও আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি গবেষণার জন্য স্পেসএক্সের অভিযানকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স