ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গুজরাটের হোস্টেলে নামাজের সময় হামলা, আহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে নামাজ আদায়ের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানের নাগরিকদের ওপর তারাবির নামাজের সময় হামলা চালানো হয়। এ সময় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্শ সাংহাবি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের ক্যাম্পাসে মসজিদ নেই। এজন্য তারা হোস্টেলে তারাবি নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ঠেকাতে চাইলেও তারা ব্যর্থ হন।

আফগানিস্তান থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, হামলাকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং নামাজ পড়ার অনুমতি কে দিয়েছে–তা জানতে চান।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, তারা আমাদের ল্যাপটপ, ফোন ও মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালিয়েছে। হামলার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ আসে, কিন্তু ততোক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ভাঙা মোটরসাইকেল ও ল্যাপটপ দেখা গেছে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবেন কি না–সেটিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানতে চেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুজরাটের হোস্টেলে নামাজের সময় হামলা, আহত ৫

আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে নামাজ আদায়ের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানের নাগরিকদের ওপর তারাবির নামাজের সময় হামলা চালানো হয়। এ সময় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্শ সাংহাবি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের ক্যাম্পাসে মসজিদ নেই। এজন্য তারা হোস্টেলে তারাবি নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ঠেকাতে চাইলেও তারা ব্যর্থ হন।

আফগানিস্তান থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, হামলাকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং নামাজ পড়ার অনুমতি কে দিয়েছে–তা জানতে চান।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, তারা আমাদের ল্যাপটপ, ফোন ও মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালিয়েছে। হামলার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ আসে, কিন্তু ততোক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ভাঙা মোটরসাইকেল ও ল্যাপটপ দেখা গেছে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবেন কি না–সেটিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানতে চেয়েছেন।