ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায় কেনা ২০টি ডেমু ট্রেনই বিকল হয়ে পড়ে আছে ওয়ার্কশপে। রেলের মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, কেনার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই কেনা হয় ট্রেনগুলো।

জানা গেছে, ডেমুগুলো ২০১৪ সালে কেনা হয় ৬৫০ কোটি টাকা দিয়ে। চার দশক সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কেনার পর থেকেই বিকল হতে শুরু করে এগুলো। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে ট্রেন; জং ধরে ক্ষয়ে পড়ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। অবহেলা-অযত্নে ট্রেনগুলো এখন স্থায়ীভাবে নষ্টের পথে। কোচ ও ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেই রেলের। পরিত্যক্ত ট্রেনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে রেলের ওয়ার্কশপ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেকানিকরা বলেন, দেশে ডেমু মেরামতে নেই কোনো ওয়ার্কশপ; কোনো ট্রেনিংও দেওয়া হয়নি তাদের। ফলে প্রযুক্তিগত কোনো ধারণা না থাকায় ট্রেনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ডেমুর যন্ত্রাংশও নেই দেশের বাজারে।

ব্যর্থতার দায়ভার কেউ নিতে না চাইলেও দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামতের কথা ভাবছে রেল। এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এ মুহূর্তে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয়, তবে চালু করা হবে। না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন

আপডেট সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায় কেনা ২০টি ডেমু ট্রেনই বিকল হয়ে পড়ে আছে ওয়ার্কশপে। রেলের মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, কেনার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই কেনা হয় ট্রেনগুলো।

জানা গেছে, ডেমুগুলো ২০১৪ সালে কেনা হয় ৬৫০ কোটি টাকা দিয়ে। চার দশক সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কেনার পর থেকেই বিকল হতে শুরু করে এগুলো। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে ট্রেন; জং ধরে ক্ষয়ে পড়ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। অবহেলা-অযত্নে ট্রেনগুলো এখন স্থায়ীভাবে নষ্টের পথে। কোচ ও ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেই রেলের। পরিত্যক্ত ট্রেনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে রেলের ওয়ার্কশপ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেকানিকরা বলেন, দেশে ডেমু মেরামতে নেই কোনো ওয়ার্কশপ; কোনো ট্রেনিংও দেওয়া হয়নি তাদের। ফলে প্রযুক্তিগত কোনো ধারণা না থাকায় ট্রেনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ডেমুর যন্ত্রাংশও নেই দেশের বাজারে।

ব্যর্থতার দায়ভার কেউ নিতে না চাইলেও দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামতের কথা ভাবছে রেল। এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এ মুহূর্তে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয়, তবে চালু করা হবে। না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।