ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিশ্রুত ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠকের পর তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার বিকেলে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ, রাজস্ব আদায়, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষই। ফলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।

আইএমএফের সঙ্গে সমাপণী বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো বুধবার। কিন্তু একদিন আগেই একদিন আগে বৈঠকটি হয়।

বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে ছাড় করা হবে এই ঋণ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ছাড় করে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এবার তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।

তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে বৈঠক করছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বছরের জুন নাগাদ দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, এটা কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হতে পারে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য গত মার্চ শেষে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার ও জুন শেষে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত ছিলো আইএমএফের।

কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণ না হলেও তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে কোনো সংশয় নেই।

আইএমএফ এর সঙ্গে সরকারের উল্লেখ করার মতো কোনো দ্বিমত নেই। ভর্তুকি কমানো, রাজস্ব ও রিজার্ভ বাড়ানোসহ আইএমএফ যে সব বিষয় বাস্তবায়ন করতে শর্তারোপ করছে, সরকারও সেগুলো বাস্তবায়নে করতে কাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমাপণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে অগ্রগতি জানাবে আইএমএফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৩১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

প্রতিশ্রুত ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠকের পর তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার বিকেলে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ, রাজস্ব আদায়, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষই। ফলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।

আইএমএফের সঙ্গে সমাপণী বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো বুধবার। কিন্তু একদিন আগেই একদিন আগে বৈঠকটি হয়।

বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে ছাড় করা হবে এই ঋণ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ছাড় করে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এবার তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।

তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে বৈঠক করছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বছরের জুন নাগাদ দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, এটা কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হতে পারে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য গত মার্চ শেষে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার ও জুন শেষে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত ছিলো আইএমএফের।

কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণ না হলেও তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে কোনো সংশয় নেই।

আইএমএফ এর সঙ্গে সরকারের উল্লেখ করার মতো কোনো দ্বিমত নেই। ভর্তুকি কমানো, রাজস্ব ও রিজার্ভ বাড়ানোসহ আইএমএফ যে সব বিষয় বাস্তবায়ন করতে শর্তারোপ করছে, সরকারও সেগুলো বাস্তবায়নে করতে কাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমাপণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে অগ্রগতি জানাবে আইএমএফ।