ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খোলাবাজারে ডলার নেই, নজরদারি বাংলাদেশ ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বৃদ্ধি করে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দর বেড়ে গেছে, ফলে খোলাবাজারেও ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখি।

বুধবার (৮ মে) খোলাবাজারে ডলার প্রতি বিক্রি হয়েছিল ১১৬ থেকে ১১৭ টাকায়। বৃহস্পতিবার নগদ ডলারের দর এক লাফে আরও ৮ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। কিন্তু, দাম বাড়লেও ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছেন না।

এদিকে, ঘোষিত বিনিময় হারের বাইরে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ডলার লেনদেন করছে কিনা বাংলাদেশ ব্যাংক তা নিয়মিত নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। আজ (বৃহস্পতিবার, ৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন। সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পক্ষে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসির গতকালের বৈঠকে ক্রলিং পেগ চালুর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মধ্যবর্তী বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১৭ টাকা। এতে ব্যাংকগুলো ১১৭ টাকা মার্জিনে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। আইএমএফের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শে তড়িঘড়ি করে সংস্থাটির সফরের শেষদিনে গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়ে কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘোষিত বিনিময় হারের বাইরে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ডলার লেনদেন করছে কিনা বাংলাদেশ ব্যাংক তা নিয়মিত নজরদারি করছে।’

এদিকে, ডলার বিক্রেতারা জানান, খোলাবাজারে ডলার বিক্রির চেয়ে বিক্রেতাদের মনোযোগ বেশি কেনার প্রতি। সবাই চাচ্ছে গ্রাহক কাছ থেকে কম দামে ডলার কেনা যায় কিনা। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে ১২৫ টাকার এর নিচে কেউ দিচ্ছে না। আগামী কয়েকদিন এমন অবস্থান চলবে বলেও ধারণা তাদের। তবে এদিন ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের থেকে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে ডলার কিনছেন।

সুমন নামে খোলাবাজারের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমার কাছে গ্রাহকদের বিক্রির জন্য ডলার নেই। কেউ যদি তার কাছে বিক্রি করে তাহলে ১২১ টাকা রেট দেবেন, কিনলেই বা রেট কত? জানতে চাইলে বলেন, ডলার নেই, রেট দেব কিভাবে?

এদিকে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যেসব শাখায় ডলার আছে তারা খুচরা বিক্রি করছে। তবে যে কেউ গেলেই ডলার পাবেন না- নিজস্ব ও পরিচিত গ্রাহককেই শাখাগুলো ডলার দিচ্ছি। আজকে বেশিরভাগ ব্যাংক খুচরায় প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে ১১৮ টাকায়।

অন্যদিকে খোলাবাজারে পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে ৩ টাকা। বুধবার ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খোলাবাজারে ডলার নেই, নজরদারি বাংলাদেশ ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০৯:০১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বৃদ্ধি করে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দর বেড়ে গেছে, ফলে খোলাবাজারেও ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখি।

বুধবার (৮ মে) খোলাবাজারে ডলার প্রতি বিক্রি হয়েছিল ১১৬ থেকে ১১৭ টাকায়। বৃহস্পতিবার নগদ ডলারের দর এক লাফে আরও ৮ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। কিন্তু, দাম বাড়লেও ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছেন না।

এদিকে, ঘোষিত বিনিময় হারের বাইরে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ডলার লেনদেন করছে কিনা বাংলাদেশ ব্যাংক তা নিয়মিত নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। আজ (বৃহস্পতিবার, ৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন। সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পক্ষে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসির গতকালের বৈঠকে ক্রলিং পেগ চালুর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মধ্যবর্তী বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১৭ টাকা। এতে ব্যাংকগুলো ১১৭ টাকা মার্জিনে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। আইএমএফের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শে তড়িঘড়ি করে সংস্থাটির সফরের শেষদিনে গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়ে কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘোষিত বিনিময় হারের বাইরে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ডলার লেনদেন করছে কিনা বাংলাদেশ ব্যাংক তা নিয়মিত নজরদারি করছে।’

এদিকে, ডলার বিক্রেতারা জানান, খোলাবাজারে ডলার বিক্রির চেয়ে বিক্রেতাদের মনোযোগ বেশি কেনার প্রতি। সবাই চাচ্ছে গ্রাহক কাছ থেকে কম দামে ডলার কেনা যায় কিনা। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে ১২৫ টাকার এর নিচে কেউ দিচ্ছে না। আগামী কয়েকদিন এমন অবস্থান চলবে বলেও ধারণা তাদের। তবে এদিন ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের থেকে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে ডলার কিনছেন।

সুমন নামে খোলাবাজারের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমার কাছে গ্রাহকদের বিক্রির জন্য ডলার নেই। কেউ যদি তার কাছে বিক্রি করে তাহলে ১২১ টাকা রেট দেবেন, কিনলেই বা রেট কত? জানতে চাইলে বলেন, ডলার নেই, রেট দেব কিভাবে?

এদিকে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যেসব শাখায় ডলার আছে তারা খুচরা বিক্রি করছে। তবে যে কেউ গেলেই ডলার পাবেন না- নিজস্ব ও পরিচিত গ্রাহককেই শাখাগুলো ডলার দিচ্ছি। আজকে বেশিরভাগ ব্যাংক খুচরায় প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে ১১৮ টাকায়।

অন্যদিকে খোলাবাজারে পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে ৩ টাকা। বুধবার ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।