ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাধাকপির বীজ কিনে প্রতারিত শত শত কৃষক

মেহেরপুর সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেহেরপুরে ‘রাজা সান’ নামে একটি জাতের বাধাকপির বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছে শত শত কৃষক। গাছ বড় হলেও বাধেনি কপি। কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই জাতের বীজ বাতিলের সুপারিশের পরও কীভাবে এটি বাজারে এলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা। তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বীজ উদ্যোক্তারা নানা বাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার করার চেষ্টা করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি ও তার ভাই এবছর ৫ বিঘা জমিতে ‘রাজা সান’ নামক আগাম বাধাকপির আবাদ করেছিলেন। জমি থেকে কপি কাটার সময় চলে এসেছে। অথচ পাতা বের হলেও বাধেনি একটি কপিও। বিঘা প্রতি জমিতে তার খরচ হয়েছিলো ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। যার পুরোটাই লোকসান হয়েছে।

শুধু শরিফুল নয় জেলার শত শত কৃষক ‘রাজা সান’ নামক আগাম বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছেন কৃষকেরা।

এদিকে, মুঠোফোনে কৃষকদের ক্ষতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘুষ দিয়ে সংবাদ প্রচার না করার প্রস্তাব দেন বীজ ডিলার দয়াল রানা।

মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার প্রামাণিক বলেন, বীজ প্রত্যয়ন অফিস বাধাকপির এই জাতটি মন্ত্রণালয়ে বাতিলের সুপারিশ করেছিলো। তারপরও কীভাবে বাজারজাত হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে কৃষকরা লিখিত আবেদন করলে তাদের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার আ দিয়েছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার।

চলতি মৌসুমে ‘জেবিটি’ নামের কোম্পানি কৃষকদের মাঝে ‘রাজা সান’ জাতের ৪০ কেজি বীজ বিক্রি করেছে। এতে দুই কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাধাকপির বীজ কিনে প্রতারিত শত শত কৃষক

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

মেহেরপুরে ‘রাজা সান’ নামে একটি জাতের বাধাকপির বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছে শত শত কৃষক। গাছ বড় হলেও বাধেনি কপি। কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই জাতের বীজ বাতিলের সুপারিশের পরও কীভাবে এটি বাজারে এলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা। তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বীজ উদ্যোক্তারা নানা বাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার করার চেষ্টা করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি ও তার ভাই এবছর ৫ বিঘা জমিতে ‘রাজা সান’ নামক আগাম বাধাকপির আবাদ করেছিলেন। জমি থেকে কপি কাটার সময় চলে এসেছে। অথচ পাতা বের হলেও বাধেনি একটি কপিও। বিঘা প্রতি জমিতে তার খরচ হয়েছিলো ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। যার পুরোটাই লোকসান হয়েছে।

শুধু শরিফুল নয় জেলার শত শত কৃষক ‘রাজা সান’ নামক আগাম বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছেন কৃষকেরা।

এদিকে, মুঠোফোনে কৃষকদের ক্ষতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘুষ দিয়ে সংবাদ প্রচার না করার প্রস্তাব দেন বীজ ডিলার দয়াল রানা।

মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার প্রামাণিক বলেন, বীজ প্রত্যয়ন অফিস বাধাকপির এই জাতটি মন্ত্রণালয়ে বাতিলের সুপারিশ করেছিলো। তারপরও কীভাবে বাজারজাত হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে কৃষকরা লিখিত আবেদন করলে তাদের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার আ দিয়েছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার।

চলতি মৌসুমে ‘জেবিটি’ নামের কোম্পানি কৃষকদের মাঝে ‘রাজা সান’ জাতের ৪০ কেজি বীজ বিক্রি করেছে। এতে দুই কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।