ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বান্দরবানে কেএনএফ-এর সদস্যসহ ৪৯ জন গ্রেফতার

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এর সদস্যসহ ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি।

রুমা ও থানচিসহ পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ধরে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান চলছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বান্দরবান পরিবেশ। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফ এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার (০৮ই এপ্রিল) সকালে রুমায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরও দুই কেএনএফ সদস্যকে। বিকেলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয় আরও তিনজন। তাদের থেকে উদ্ধার হয় ৭টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ নানা সরঞ্জাম। আটক ৭ জনের মধ্যে ৬জনই কেএনএফ সদস্য।

এর আগে, সকালে থানচিতে একটি জিপগাড়িসহ কেএনএফের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- ভানুনুন নুয়ান বম (২৫), জেমিনিউ বম (২৪), আমে লনচেও বম (২৫)। এসময় গাড়িটির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকারকেও (২৮) আটক করা হয়।

এদের মধ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা গাড়ির চালক কফিল উদ্দিনকে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নামানো হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে। খুলেছে দোকানপাট, কাজে বেরিয়েছে মানুষ।

এর আগে, গত রোববার (৭ এপ্রিল) ভোর ৫টায় বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেএনএফের স্থানীয় প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাজোয়াযানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বান্দরবানে কেএনএফ-এর সদস্যসহ ৪৯ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এর সদস্যসহ ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি।

রুমা ও থানচিসহ পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ধরে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান চলছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বান্দরবান পরিবেশ। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফ এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার (০৮ই এপ্রিল) সকালে রুমায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরও দুই কেএনএফ সদস্যকে। বিকেলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয় আরও তিনজন। তাদের থেকে উদ্ধার হয় ৭টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ নানা সরঞ্জাম। আটক ৭ জনের মধ্যে ৬জনই কেএনএফ সদস্য।

এর আগে, সকালে থানচিতে একটি জিপগাড়িসহ কেএনএফের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- ভানুনুন নুয়ান বম (২৫), জেমিনিউ বম (২৪), আমে লনচেও বম (২৫)। এসময় গাড়িটির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকারকেও (২৮) আটক করা হয়।

এদের মধ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা গাড়ির চালক কফিল উদ্দিনকে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নামানো হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে। খুলেছে দোকানপাট, কাজে বেরিয়েছে মানুষ।

এর আগে, গত রোববার (৭ এপ্রিল) ভোর ৫টায় বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেএনএফের স্থানীয় প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাজোয়াযানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।