ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশজুড়ে গরমের দাপট, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের প্রায় সবখানে বইছে তাপপ্রবাহ। বর্তমানে ঢাকাসহ ছয়টি বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার পটুয়াখালীতে তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও শিশুরা। এমন গরম আরও কয়েকদিন থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

একটু স্বস্তি পেতে অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন পার্কে কিংবা পথের পাশে গাছের ছায়ায়। গরমের এই তীব্রতা থেকে সহসাই রেহাই মিলবে না। ১০ দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৈশাখের শুরুতেই কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজধানীবাসীর। অব্যাহত তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন।

সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই তেঁতে উঠছে পথঘাট। রোদের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে বের হয়েছেন। তবে ভোগান্তি বেশি ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। তৃষ্ণা মেটাতে কেউ কেউ রাস্তার পাশে শরবতের দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় পান করছেন।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ অন্তত এক সপ্তাহ চলবে। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে কোথাও কোথাও।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত রোববার ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মানুষ। ঘরের বাইরে যাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। হাসপাতালে বাড়ছে বয়স্ক ও শিশু রোগী।

শ্রমিকেরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে কাজে বের হওয়াই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজে বের হলেও তেমন আয়-রোজগার হচ্ছে না।

তীব্র গরমের জন্য রাঙামাটিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। বেশি দুর্ভোগে আছেন দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা।

কক্সবাজারেও গরমের জন্য আয়-উপার্জনে ভাটা পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষদের। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। এমন তাপদাহ আরও কয়েকদিন থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুর হক জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ময়মনসিংহ ও রংপুরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এ ছাড়া ছয় বিভাগে তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। আগামী দুই-তিন দিনে যদি বৃষ্টি হয়ও তাও হবে সামান্য।

গতকাল সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে টানা তাপদাহে রাজশাহীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। দুপুরের পর থেকেই ফাঁকা থাকছে রাস্তাঘাট। চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমের কারণে বাইরে বেশিক্ষণ থাকতে পারছে না মানুষ। যাত্রীও পাচ্ছে না রিকশা ও ভ্যান চালকেরা।

তীব্র গরমের কারণে কুষ্টিয়ার হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগী। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

এ ছাড়া গত তিন দিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদাহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরেরর দিন বৃহস্পতিবারের (১৮ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশজুড়ে গরমের দাপট, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল

আপডেট সময় : ০২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশের প্রায় সবখানে বইছে তাপপ্রবাহ। বর্তমানে ঢাকাসহ ছয়টি বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার পটুয়াখালীতে তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও শিশুরা। এমন গরম আরও কয়েকদিন থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

একটু স্বস্তি পেতে অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন পার্কে কিংবা পথের পাশে গাছের ছায়ায়। গরমের এই তীব্রতা থেকে সহসাই রেহাই মিলবে না। ১০ দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৈশাখের শুরুতেই কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজধানীবাসীর। অব্যাহত তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন।

সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই তেঁতে উঠছে পথঘাট। রোদের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে বের হয়েছেন। তবে ভোগান্তি বেশি ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। তৃষ্ণা মেটাতে কেউ কেউ রাস্তার পাশে শরবতের দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় পান করছেন।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ অন্তত এক সপ্তাহ চলবে। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে কোথাও কোথাও।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত রোববার ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মানুষ। ঘরের বাইরে যাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। হাসপাতালে বাড়ছে বয়স্ক ও শিশু রোগী।

শ্রমিকেরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে কাজে বের হওয়াই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজে বের হলেও তেমন আয়-রোজগার হচ্ছে না।

তীব্র গরমের জন্য রাঙামাটিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। বেশি দুর্ভোগে আছেন দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা।

কক্সবাজারেও গরমের জন্য আয়-উপার্জনে ভাটা পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষদের। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। এমন তাপদাহ আরও কয়েকদিন থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুর হক জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ময়মনসিংহ ও রংপুরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এ ছাড়া ছয় বিভাগে তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। আগামী দুই-তিন দিনে যদি বৃষ্টি হয়ও তাও হবে সামান্য।

গতকাল সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে টানা তাপদাহে রাজশাহীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। দুপুরের পর থেকেই ফাঁকা থাকছে রাস্তাঘাট। চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমের কারণে বাইরে বেশিক্ষণ থাকতে পারছে না মানুষ। যাত্রীও পাচ্ছে না রিকশা ও ভ্যান চালকেরা।

তীব্র গরমের কারণে কুষ্টিয়ার হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগী। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

এ ছাড়া গত তিন দিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদাহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরেরর দিন বৃহস্পতিবারের (১৮ এপ্রিল) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।