ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্লাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনঃনির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মত প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এদেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।
এসময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। এরপর তিনি অতিথি ও বিজয়ীদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে : স্পিকার

আপডেট সময় : ১১:২১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্লাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনঃনির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মত প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এদেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।
এসময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। এরপর তিনি অতিথি ও বিজয়ীদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।